শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন,বিসর্জন ও ২য় টাকি অনুষ্ঠানের, সুষ্ঠু সফল আয়োজনের উদ্দেশ্যে,মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় (২১সেপ্টেম্বর) শনিবার সকাল ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে।
তথ্য মতে প্রকাশ,ছাত্র বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে,স্বৈরাচার সরকার পতনের পর দেশে, একদিকে স্বচ্ছতা ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন নামধারীরা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় ভীষণ উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সচিব রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায়, মতবিনিময় ও পরামর্শ ভিত্তিক সভায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলামের শুভ উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে, অনুষ্ঠানে আয়োজিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মৃণাল কান্তি বিশ্বাস।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, সাবেক জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান, বাবু ডালিম কুমার ঘরামী। তিনি বলেন,কোন জাতির ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে যদি অর্থ না থাকে, প্রশাসনিক সাপোর্ট না থাকে, নিজস্ব লোকবল না থাকে। তাহলে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার কি দরকার। বরং ডিজে গান বাজিয়ে পবিত্রতা নষ্ট করা হয়।
বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মুকুন্দকুমার বিশ্বাস, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান, জি এম আব্দুর রউফ। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্লোগানে, শান্তিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, বুড়ি গোয়ালিনী জামাত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন তিনি বলেন, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, একসাথে থাকতে চাই। উৎসব যার যার, নিরাপত্তা সবার আমরা মৃগালিনই ইউনিয়ন জামাত ইসলাম আপনাদের পাশে আছি আপনারা নির্দ্বিধায় ধর্ম উৎসব পালন করবেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবু স্বপন কুমার বিশ্বাস, রোহিত দাস মিস্ত্রি,উপস্থিত ছিলেন অলক কুমার।ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নীলকান্ত রপ্তান,জাতীয়তাবাদী যুবদলের রুস্তম আলী, চিত্তরঞ্জন জোয়ারদার
সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চেয়ারম্যান বলেন, দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর এ অঞ্চলের সনাতন সম্প্রদায় ভীতু সন্ত্রস্ত বোধ করছে। আমরা মানুষ, মানবিকতা আমাদের বড় ধর্ম। এটা আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমরা একসাথে মিলেমিশে থাকতে চাই।আর্থিক, প্রশাসনিক, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে স্পেশাল টিম, আনসার বাহিনীর সহ যাবতীয় সাপোর্ট দেয়ার আশ্বাস জানান। বিগত দিনে দ্বিতীয় টাকি অনুষ্ঠানটি তিনটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে চলে এসেছে।চেয়ারম্যান মহোদয় আশ্বস্ত করেন, এবার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, পদ্মপুকুর।চারটি ইউনিয়ন সম্মিলিতভাবে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গা বার্টি নামক স্থানে ২য় টাকি অনুষ্ঠান সফল করার জন্য যথার্থ অবদান রাখবেন বলে হিন্দু ধর্মালম্বী ভাইদেরকে আশ্বস্ত করেন।