আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ
কুলিয়া বাস দূর্ঘটনায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে পড়ে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গেলো ৫০যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টায় দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি ইটের ভাটা সংলগ্ন খাসখামার গ্রামে ঢোকার পথ কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা মহাসড়কে। দূর্ঘটনা কবলিত বাসের নম্বর-সাতক্ষীরা জ,১১-০০৬১। গাজী নামের বাসটির ড্রাইভারের নাম শরিফুল ইসলাম। ড্রাইভার শরিফুল ইসলাম জানান, আমি বাসটিতে ৫০জন যাত্রী নিয়ে কালিগঞ্জ হতে সাতক্ষীরার উদ্দ্যেশে যাওয়ার পথে পুষ্পকাটি ইটের ভাটা পৌছালে রাস্তায় প্রচুর গর্ত থাকার কারনে বাসের ফরোমেক্সেল ভেঙে যাওয়ার কারনে গাড়ি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরের মধ্যে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে আমি তখন ব্রেক মেরে একটি খই গাছে মেরে দেই, ব্রেক মারার পরে বাসের সামনের ডান পাশের চাকা দুমড়ে গেলে বাসটি থেমে গিয়ে পুকুরে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। দূর্ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী আবু বক্কর জানান, বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পুকুরে ধারে যাওয়ার পরপরই যাত্রীদের আত্ম চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসে। যাত্রীরা বাহিরে আসার চেষ্টা করে কিন্তু বাসটির সামনে একটি মাত্র গেট, গেটটি পুকুরের মধ্যে থাকার কারনে গাড়ির জানালা দিয়ে যাত্রীদের বাহির করে নেয়। এলাকাবাসী জানায়, সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ মহাসড়ক রাস্তা ভেঙে ছোট বড় গর্ত হওয়ার কারনে বাসের ফরোমেক্সেল ভেঙে ইতিমধ্যে ভাড়াশিমলা কুকোডাঙ্গা, সখিপুর, পারুলিয়া, কুলিয়া, পুষ্পকাটি সরদার বাড়ির মোড়, আলিপুর সহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এমন দূর্ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া মিনি ট্রাক, মহেন্দ্র,ইজিবাইক, মটরসাইকেল চালকরা জানান, রাস্তায় ছেট বড় গর্তের কারনে দূর্ঘটনা সহ গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, গাড়ি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছেনা। গাড়ি চালিয়ে মাঝে মাঝে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের গাড়ি চালানো সম্ভব হবেনা। এব্যাপারে মহাসড়কের চলাচলরত চালকরা রাস্তা সংষ্কারের জন্য উর্দ্ধতম কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.