মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, ক্রাইম রিপোর্টার : ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাঁড়ানো ও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নির্বিচারে হত্যা বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, দুপুর ১টায় মৌলভীবাজার চৌমুহনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদস্য জুবায়েল আহমেদ, জিসান চৌধুরী, ইফাজ আহমেদ কয়েছ, মীম সুলতানা, মাহিন আহমেদ ইব্রাহিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ ২০১১ সালে ফেলানি খাতুন নামের ১৫ বছর বয়সী শিশুকে গুলি করে হত্যা করে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর লাশটা তখন সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করলেও সেই খুনি বিএসএফ সৈনিকদের কোনও বিচার হয় নি।
গত ১ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ায় সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় বড় ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী স্বর্ণা দাসকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। তার সাথে থাকা স্বর্ণার মাকেও আহত করে।
প্রতিবছর বিএসএফ গুলি করে নির্বিচারে অনেক বাংলাদেশীকে মারছে। আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে প্রতিবছর নির্বিচারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হলেও কোনো বিচার হতো না এই অন্যায় বন্ধের দাবি জনগণ জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে সরব আলাপ চলত না।
ভারত কোন বন্ধু রাষ্ট্র নয় আমাদের বুঝতে হবে ভারত একটা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র। ফলে সে তার সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে সকল ধরনের অন্যায় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাথে করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে না, ভারত সকল আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখায় বাংলাদেশের নদীগুলো শুকিয়ে গেছে।
তিস্তায় বাঁধ দিয়ে উত্তরবঙ্গকে মরুভূমি বানানো হচ্ছে। আবার যখন পানির প্রয়োজন নেই তখন সকল গেইট খোলে দিয়ে বন্যার পানিতে বাংলাদেশ ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সকল স্বাধীনতাকামী জনগণ নির্বিচারে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী হত্যার বিচার এবং এই নির্মম হত্যা কান্ড বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
Leave a Reply