সংবাদ শিরোনামঃ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৫  শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে   কালিগঞ্জে আ’লীগের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত চুনকুড়ি টহলফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সজল মজুমদারের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলায় থানায় জিডি দেবহাটায় কুলিয়ায় গ*লা*য় দড়ি দিয়ে আ*ত্মহ*ত্যা করেছে এক দিনমজুর তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেবহাটা উপজেলা বিএনপি বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে অসহায়-হতদরিদ্র ১৫০০ পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ  কালিগঞ্জের দঃ শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন জুলফিকার সভাপতি মোতাহার সম্পাদক সুন্দরবনে হরিণ শিকারী তৎপরতা বেড়ে গেছে এমন খবরে বনবিভাগ জেগেবসেছে
সাত মাসেও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি কর্তৃপক্ষ

সাত মাসেও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি কর্তৃপক্ষ

শ্যামনগর প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন কর্তৃক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পাস সুফিয়ান গাজীকে নবম শ্রেণী উত্তীর্ণ দেখিয়ে জাল/ ভুয়া সার্টিফিকেট তৈরি করে দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম ও অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।
জাল সার্টিফিকেট ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে বিগত ৭ মাস পূর্বে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে ,ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেননি জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার।
প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন জে,এস,সি পরীক্ষার অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে প্রদান করেন।বিদ্যালয়টিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত না পড়লেও অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় এ সার্টিফিকেট।
তার ওই প্রমাণ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি গ্রামের নওশের আলম গাজীর পুত্র সুফিয়ান গাজী বিপুল অর্থের বিনিময়ে জাল/ভূয়া সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করছে অত্র প্রতিষ্ঠানে। সুফিয়ান গাজী ১৯৯৯ সালের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হইয়া ১ম সাময়িক পরীক্ষা দেন কিন্তু দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা না দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।২০০০ সালে ৭ম শ্রণির পরীক্ষা দেননি।
 ২০০১ সাল হিসাব অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার কথা থাকলেও তাকে নবম শ্রেণী পাস দেখিয়ে নিজ হাতে লেখা সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন।
 সুফিয়ান গাজী নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন না করেও কিভাবে ৯ম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট পেয়ে চাকরি করছেন সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে প্রশ্ন জনমনে।
প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ  আত্মসাৎ করার অভিযোগে সাতক্ষীরা আদালতের তিনটি মামলাও হয়। একটি মামলার বাঁদিকে সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে মীমাংসা করে নিয়েছে।
আরো দুটি মামলা এখনো চলমান আছে। মামলা ২ টি যথাক্রমে -সি,আর-৬৬৯/২২ও সি,আর ৬৭০/২২। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা নাশকতা মামলা দিয়ে হয়রানি করতো এবং তাহার কিছু গুন্ডাবাহিনী দিয়ে হুমকি ধামকি এমনকি মারধরও করতো এমনও কয়েক ডজন অভিযোগ আছে, এই সাবেক সভাপতি এসএম ইসলামের বিরুদ্ধে যেটি সরজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
এই বিষয়ে সাবেক সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে জানতে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে,রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল এবং প্রধান শিক্ষক বলেন সে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ ম শ্রেণি পাস করছিল এবং তার বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগ সত্য নয়। অন্যদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল খায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সেখান থেকে আমাদের তদন্তর দায়িত্ব দিলে আমরা তদন্ত করতে পারি জাল সার্টিফিকেট এর বিষয়ে আমরা তদন্ত করে তাকে চাকরি চুতো করতে পারিনা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড