পশ্চিম সুন্দরবন এর সাতক্ষীরা রেঞ্জে তিন মাসের জন্য প্রবেশ বন্ধের কারনে উপকূলের মানুষ আর্থিক সংকটে পড়েছে এমন অভিযোগ উপকূল বাসির।
সরকারি ভাবে তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে মাছ,কাঁকড়া,মধু আহরণ নিষেধাজ্ঞা সহ প্রর্যটক ও প্রবেশ করতে পারবে না।
ইতিমধ্যে দুই মাস শেষ হতে গেলেও নিষেধাজ্ঞা এখনো বাকি আছে একমাস।
সরকারি ভাবে জেলে বাওয়ালীদের জন্য মাথা পিছু বরদ্ধ কৃত ৮৬ কেজি চাউল দেওয়ার কথা থাকলে ও জুন মাসে দেওয়া হয়েছে ৫৬ কেজি করে চাউল, জেলেদের অভিযোগ বাকি ৩০ কেজি চাউল তারা পাবে কি না।
এবিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, জেলেদের বরদ্ধ কৃত ৮৬ কেজি চাউল এর মধ্যে ৫৬ কেজি চাউল দেওয়ার পরে বাকি ৩০ কেজি চাউল আমাদের নিকট আসলেই জেলেদের তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হবে।
বুড়িগোয়ালিনী ভামিয়া গ্রামের মৌয়াল আবুল সরদারের সাথে সুন্দরবনে মধু বছরের কোন মাস থেকে কোন মাস পযর্ন্ত আহরণ করা যায়, এবিষয়ে জানতে চাইলে
মৌয়াল বলেন পহেলা এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের ১৫থেকে ২০ তারিখ পযর্ন্ত সুন্দরবনে মধু পাওয়া যায়।
তবে মৌয়াল অভিযোগ করে বলেন জুন মাস থেকে সকল ধরনের পাস বন্ধ করে দেওয়ায় সুন্দরবনের মধু বহুপরিমান সুন্দরবনে থেকে যায়।
তিনি আরো বলেন এই মধু কাটতে না দেওয়ায় যেমন ক্ষতি হয় সরকারি রাজ্বস আর সে সাথে ক্ষতিতে পড়ি আমারা, তিনি দাবী করেন সরকারের কাছে সুন্দরবনের মধু নষ্ট না করে সে দিকটা খেয়াল রেখে আইন করা করা যায় কি।
তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ফলে উপকূলের মানুষ যেমন ভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এনজিওদের নিকট তেমনি মহাজনের।
আর্থিক সংকটের কারণে অনের সংসার ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বুড়িগোয়ালিনী এলাকার হানিফ গাজী।
উপকূলীয় মানুষের মুখে একটাই কথা হয়তো কাজ দে নইলে ভাত দে।
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহত পরিবারের উপর্জন কারী মুনজিলার সংসার চলে নদীতে মাছ ধরে,তিন মাস সেটাও বন্ধ কি করে সংসার চলছে মুনজিলার,সরজমিনে রবিবার সকালে যেয়ে দেখাযায় দিন আনা দিন খাওয়া মুনজিলার ঘরে নেই দুপুরের খাবার।
এভাবেই চলছে মুনজিলার মতো উপকূলের সুন্দরবনগামী হাজার ও জেলে বাওয়ালীর সংসার।
সুন্দরবনে মধু তিন থেকে সাড়ে তিন মাস আহরণ করা যেতে পারে এবিষয়ে পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বন সংরক্ষক এম, কে,এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সুন্দরবনে মধু আহরণ করার জন্য সময় সিমা ঠিক করা আছে এপ্রিলের এক তারিখ থেকে ৩১ শে মে পযর্ন্ত, এদুমাসের মধ্যে সুন্দরবন থেকে মধু সংগ্রহ করার জন্য বৈধ পাস দেওয়ার পরে মৌয়াল গণ মধু আহরণ করে থাকেন।তবে সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ করার কারণে কাউকে সুন্দরবনে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
জুন জুলাই এসময় যদিও মধুর চাক সুন্দরবনে থেকেই থাকে তবে সে চাক কাটার সুযোগ থাকেনা হয়তো সেসময় কিছু মধু সুন্দরবনে থাকতে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান ।