গাবুরা শ্যামনগর (প্রতিনিধিঃ
চিংড়ি ঘেরের মধ্যে নৌকায় স্ত্রীকে বেঁধে রেখে কৃষকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাত ১২টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামে চৌদ্দ রশি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আবুল কাশেম (৫২)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা
ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামের নেছার আলী কাগুচীর ছেলে ও গাবুরা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক।
গাবুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার চাচাত ভাই শফিকুলকে ২০১৫ সালে ঘেরের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে তাদের ২৫ বিঘা জমি লীজ নিয়ে আবুল কাশেম ২০১৫ সাল
থেকে মাছ চাষ করে আসছিল। ওই জমির একাংশ লোকমান গাজী, মুছা গাজীসহ কয়েকজন দাবি করে দখলের চেষ্টার করে আসছিল। নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, চিংড়ি ঘের
নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গাবুরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান গাজী ও শফিকুল হত্যা মামলার
আসামীরা তার স্বামী আবুল কাশেমকে গত কয়েক বছরে তিনবার হত্যার চেষ্টা করে। বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি ও তার স্বামী আবুল কাশেম বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ঘেরে পাতা আটল থেকে মাছ ঝাড়তে যান। তারা আটল ঝাড়ার জন্য
নৌকায় উঠলে লোকমান, মুছা, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি শোকর আলী, আবু সাঈদ, আনিসুর, সালাউদ্দিন, সেকেন্দার, সুমনসহ কয়েকজন তাকে
(ফিরোজা) ঘেরের মধ্যে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ডিঙি নৌকায় হাত, পা, চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তার স্বামীকে
নৌকা থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ঘেরের পানিতে পুঁতে ফেলে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান,
চিংড়ি ঘের নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেমকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ। শুক্রবার
ভোরে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.