সংবাদ শিরোনামঃ
শ্যামনগরে সাংবাদিক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টুর জীবন নাসের হুমকি দিয়ে ভিটার সীমানা ঘেঁষে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে কালিগঞ্জে বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর মন্ডপে মন্ডপে এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলীর শুভেচ্ছা বিনিময়  শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া সোনার মুকুট চুরি, সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া সোনার মুকুট চুরি, সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে শ্যামনগর মন্ডপে মন্ডপে আশেক ইলাহি মুন্না  শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে কালিগঞ্জের মন্ডপে মন্ডপে এ্যাডঃ সৈয়দ ইফতেখার আলীর শুভেচ্ছা বীজ আমাদের সম্পদ, আসুন বীজ সংরক্ষণ করি নওয়বেকী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির স্থায়ী কার্যালয় শুভ উদ্বোধন শ্যামনগরে ৪৯ বোতল রয়েল স্ট্যার্ক ও ম্যাজিক মোমেন্ট উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড
বন বিভাগের সর্তকবাণী দিয়ে যা বললেন রাসেলস ভাইপার নিয়ে

বন বিভাগের সর্তকবাণী দিয়ে যা বললেন রাসেলস ভাইপার নিয়ে

অনলাইন ডেস্কঃ

রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ বনবিভাগ।

দেশের সর্বত্র আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষাক্ত ও হিংস্র চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপ। অনেক জায়গায় এই সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এবং সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। এই অবস্থায় বাংলাদেশ বন বিভাগের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিস্তারিত তুলে ধরেছে বাংলাদেশ বন বিভাগ।

বন বিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পড়ত না। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

রাসেলস ভাইপার স্বভাবগতই কিছুটা তেজী। এটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সাথে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, ফলে সাপটি বিপদ দেখে ভয়ে আক্রমণ করে। এই সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত মানুষ হিসেবে আমরাই দায়ী। যেসব প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন, শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল এরাও রাসেলস ভাইপার খেয়ে থাকে।

এছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসকল শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপার অত্যধিকহারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

আরো পড়ুন: উপকূলীয় বার্তায়

বন বিভাগের পক্ষ থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

ঃ রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ঃযথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।

ঃ যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

ঃ রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

ঃ সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।

ঃ রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

> আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগীতায়- সুন্দরবন আইটি লিমিটেড