প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১১, ২০২৫, ১০:৪১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৪, ৭:৩৬ পি.এম
শ্যামনগর বেড়িবাঁধের পাশে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে বেশ কিছু অসহায় পরিবার
উপকূলীয় অঞ্চল( শ্যামনগর) প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা। ইউনিয়নটিতে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে, বেড়িবাঁধ সহ সরকারি খাল খননের কাজ, স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল ইউনিয়ন হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নকে সরকার এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বেড়িবাঁধ সহ খাল খনন ও চলাচলে বিভিন্ন রাস্তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।
গাবুরা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চকবারা এলাকার বেড়িবাঁধের ও ডুমুরিয়া খালের দু ধারে বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যথায় সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে সরজমিনে যেয়ে দেখাযায়, চকবারা গ্রামের মনোয়ারা খাতুন তার একমাত্র ঘর ভেঙে নিচ্ছে।এবিষয়ে মনোয়ারা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এই ঘর ছাড়া বসত করার মত আর কিছু নেই, এই ঘরডা ভেঙে অন্য কারোর বারন্ডায় থাকতে হবে বাচাকাচা নিয়ে।কয়েক দিন ধরে বসতি স্থান থেকে ঘর বাড়ি ভাঙে সরিয়ে নিচ্ছে বেড়িবাঁধের মধ্যে ওখাল খননের এরিয়া করার স্থান থেকে।
ডুমুরিয়া গ্রামের মহর আলী মোল্যা বলেন আমাদের বাপতি সম্পত্তির উপরে ঘর করা সেই ঘর ও ভাঙতে হচ্ছে, তাহলে কোথায় যেয়ে বসত করবো। তবে অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার মানুষের বাস্তভিটা থেকে চ্যুত হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোজবার ঠাঁই হচ্ছে না এসব পরিবারের।
গাবুরা চকবারা গ্রামের ফরহাদ হোসেন, বাচ্চু, রবিউল সহ স্থানীয় বেশ কিছু নারী পুরুষ বলেন
আমারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ক্ষতিপূরণের টাকা পায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী এর কাছে জানতে চাইলে প্রকৌশলী বলেন,
সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং-১৫ পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুন:নির্মাণ ও রেগুলেটর নির্মাণের জন্য সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ০৪টি মৌজার বিভিন্ন দাগে ৪৬.১৯৫ হেক্টর (১১৪.১৩০ একর) ভূমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক নির্দেশক্রমে কার্যক্রম চলমান রয়েছে,যার স্মারক নং নিম্নে দেওয়া হলো।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্মারক নং-৪২.০১.০০০০,২০৩.৩১.০১৩.২৩-৩১২।
তিনি আরো বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা চেষ্টা করছেন যত দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ক্ষতিপূরণ বাবদ অধিগ্রহণের টাকা পাইতে পারে।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.
হেড অফিসঃ আলাউদ্দিন মার্কেট, নীলডুমুর, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা- ৯৪৫৫