শ্যামনগর প্রতিনিধি।
মাদ্রাসা পড়–য়া ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষন চেষ্টায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল চারটার দিকে উপজেলার নুরনগরের হাবিবপুর শিয়ামোড় এলাকার সড়ক অবরোধ করে নুরনগর ইউনিয়ন যুবলীগ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর ব্যানারে ঐ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা অভিযোগ করেন ১০ বছরের একটি শিশুর উপর নারকীয় তান্ডব চালানোর ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে। ঘটনার পর আট দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ঐ শিশুর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। অথচ স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওদুদ গাজী এবং প্রভাবশালী আবুল কালাম সরদারের আশ্রয়ে আসামীরা গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলছে। এমনকি মামলা তুলে নেয়ার পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়ার জন্য সরকার দলীয় ঐ দুই নেতা ভুক্তোভোগীর পরিবারকে চাপ দেয়া ছাড়াও উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার-উস শাহাদাৎ, সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হলো, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ, আ্ব্দুল হামিদ, ভুক্তোভোগী শিশুর নানা আবু বক্কার গাজী প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে পাশর্^বর্তী আব্বাস সরদারের দোকানে খাবার কিনতে যেয়ে ধর্ষন চেষ্টার শিকার হয় ১০ বছরের ঐ শিশু। দোকানদারের ছেলে রেজাউল ও তার বন্ধু মুকুল দোকানের পিছে নিজেদের বসত ঘরে নিয়ে ঐ শিশুর উপর অত্যাচার চালায়। একপর্যায়ে শিশুটির অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঐ দু’জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মিমাংসার উদ্যোগ নেয়ার কথা স্বীকার করে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওদুদ গাজী বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতরা আমার পরিচিত বিধায় তাদের অনুরোধে আপোষরফার চেষ্টা করি। কিন্তু ঘটনার শিকার শিশুর পরিবার সম্মতি না হওয়ায় এখন আমি চেষ্টা তদবির বাদ দিয়েছি।
নুরনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, আসামীরা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ওদুদ গাজীর প্রতিবেশী হওয়ায় তিনি মিমাংসার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। তবে ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তিনি তার প্রস্তাবে সম্মতি দেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক পিংকু মন্ডল জানান আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.