সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
মৎস্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের আয়বৃদ্ধি শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের উদ্যোগে সাতক্ষীরার এল্লারচরে পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার উন্নয়ন সংস্থা (সাস) এর পেইজ প্রকল্পের অধিন পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার উন্নয়ন সংস্থা (সাস) এর পেইজ প্রকল্পের অধিনে ‘চিংড়ি চাষ প্রদর্শনী খামার’ এর কনফারেন্স রুমে এ সেশনের আয়োজন করা হয়। সেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রিজার্ভ) অসীম কুমার ঘোষ, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার এবিএম জাকারিয়া।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাস এর নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলী।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেক্টরাল কাজে জড়িতরা বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের মাছ রপ্তানী তুলনামুলকভাবে কম। যেহেতু বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় রপ্তানীযোগ্য পণ্য হলো মাছ সেহেতু রপ্তানীর পাশাপাশি মাছকে কিভাবে বহুমুখিকরণ করে দেশের মানুষের মাঝে এটিকে প্রচার করাতে হবে। আমাদের দেশে বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানী এসে তারা তাদের দেশের বিভিন্ন পণ্য ব্রান্ডিং করছে অথচ দেশের উৎপাদিত মাছ দিয়ে আমরা কিছু করতে পারছিনা। আমাদের প্রক্রিয়াজাতকরণের উপর বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। শুধু তায়ই নয় বেকার যুবদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদান করে তাদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে হবে। অতিথিরা অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি তারা নিজেরাও মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক যে সমস্ত কার্যক্রম হাতে নেওয়া যায় এমনকি পলিসি সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে উর্ধতন মহলে উপস্থাপন করবেন। তারা বলেন, বিভিন্ন দেশ তাদের উৎপাদিত মাছ নিয়ে আজ ব্রান্ডিং করছে যেমন থাইল্যান্ডের ভেনাম। তেমনি বাগদা বাংলাদেশেরই প্রোডাক্ট এটি প্রথিবীর অন্য কোন দেশে বাংলাদেশের মত উৎপাদিত হয়না। এটিকে যদি আমরা ব্রান্ডিং করি তাহলে বাগদার মাধ্যমে দেশের সুনাম করা সময়ের ব্যাপার। বক্তাদের মধ্যে অনেকে বলেন বর্তমানে আমরা দেখছি বিভিন্ন শহরে উদ্যোক্তারা ‘রেডি টু কুক, রেডি টু ইট’ করছে এবং সাধারণ পাবলিক সেটিকে মুখরোচক খাবার হিসাবে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে। এই কার্যক্রমটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। অতিথিরা বলেন সাস যদি তার পরবর্তী প্রকল্প আরএমটিপি মাধ্যমে এ কার্যক্রম হাতে নিতে পারে তাহলে দাতা সংস্থা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার এমনকি সরকারের উদ্দেশ্য পুরণ হবে পাশাপাশি দেশের এক বিরাট অংশের বেকার যুবদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সাস কর্তৃক পরিচালিত মৎস্য সেক্টর বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তারা ধন্যবাদ জানান। মাছকে বহুমুখিকরণ কাজে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.