হুদা মালী, শ্যামনগর উপকূল থেকেঃ
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া খেয়াঘাট বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে ৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। (৫ ই জুন) রবিবার দিবাগত রাতে আনুমানিক ১২ টা ৩০ মিনিটে গাবুরা ডুমুরিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন বাজারে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সেরাজুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ আমার বাড়ির সামনে দোকানে আগুনের শিখা জ্বলতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে এ আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকারবাসি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এটি একটি দুঃখজনক বিষয় গাবুরা ইউনিয়নে ফায়ার সার্ভিসের কোন যোগাযোগ না থাকায়। পরে ২-৩ ঘন্টা ধরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই সময়ে নদীতে জোয়ার ছিল বলে, নদীর পানি মেরে আগুন পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ৩ টা দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকেরা হলেন, গাবুরা ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত্যু সরাফ মোল্লার ছেলে মোকারম ও তার ছোট ভাই মোশারফ একই এলাকার মনু তরফদারের ছেলে মাহবুবুর রহমান।পুড়ে যাওয়া দোকান গুলো সব চায়ের দোকান ছিল, ক্ষতির সংখ্যা আনুমানিক ৪/৫ লাখ টাকা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যবসায়ী বলেন, রবিবার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডে তাঁদের অন্তত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জি,এম,আবিয়ার রহমান বলেন,গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া খেয়াঘাট সংলগ্নে বাজারের চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমাদের গাবুরা ইউনিয়নের কোন প্রকার ফায়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা নাই। গাবুরায় কোথাও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও দূরর্ঘটনা ঘটলে সেটা গ্রামবাসীরা একত্রে হয়ে নিয়ন্ত্রণে আনেন।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না থাকায় গ্রামের জনগন তাৎক্ষণিক ভাবে নদীর পানি মেরে আগুন বন্ধ করেন। এই আগুনে মোকারম মোল্লা, মোশারফ মোল্লা ও মাহবুবের চায়ের দোকান সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.