প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ৯:২৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২৫, ২০২৩, ৫:৫২ পি.এম
আজ প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আইলার ১৪ বছর
এম এ হালিম শ্যামনগর উপকূল থেকেঃ
২০০৯ সালের ২৫ মে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে আইলা আঘাত করেছিল বাংলাদেশের উপকূলে। এর প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলো।
আইলায় উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি হয়েছিল সাতক্ষীরা শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে, উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটেছে ব্যাপক। নাজুক বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে যায় উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন।
কৃষি জমি, চিংড়ির খামার ভেসে যাওয়া সহ, পুকুর, ডোবা সবকিছু লবণের বিষে আক্রান্ত হয়। ফলে জীবন জীবিকায় চরম সংকট দেখা দেয়। ১৪ বছর পরেও ওই অঞ্চলের মানুষ আইলার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।
সে কথাই বলছিলেন গাবুরা ইউনিয়নের ৬০ ঊর্ধ্ব বয়সী আনসার আলী। তিনি আরো বলেন আইলায় গাবুরা ইউনিয়নে শিশু নারী মিলে ২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
বাংলাদেশের ঘন ঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল খুব বেশি সংকটের মুখোমুখি। ঘন ঘন সাইক্লোন সাতক্ষীরা জেলাটিকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ফণী এবং ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ২০২১ সালের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং আরো অনেক প্রাকৃতিক বিপদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলের এই জেলার মানুষেরা। আইলায় সজনহারা পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁধভাঙা নদীর পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার সব কিছু, নিমিষেই শেষ হয়েযায় আমার সব, মারা যায় মমতাজুল সহ একই পরিবারের ছয়জন।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.
হেড অফিসঃ আলাউদ্দিন মার্কেট, নীলডুমুর, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা- ৯৪৫৫