কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
কয়রায় বেপরোয়া ট্রলির আঘাতে ১ শিক্ষক সহ তার স্কুল পড়ু–য়া ২ পুত্র মারাত্মক আহত হয়েছে। তাদেরকে ঘটনাস্থলে থেকে উদ্ধার করে প্রথমে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে খুলনা থেকে তাদেরকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার কালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আঃ সাত্তার গতকাল ৯ টার দিকে তার ২ পুত্র স্কুল ছাত্র তাফরিড আল আবির (১০) ও তাসিমুল আরাব (৬) নিয়ে নিজ বাড়ি দেয়াড়া হতে রওনা হয়ে কালনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এসে মোটরসাইকেলটি সাইট করে রাখে। এমতাবস্থায় পাইকগাছার শাহা পাড়া থেকে বেপরোয়া এক ইট বহন করা ১ টি ট্রলি তার মোটরসাইকেলে আঘাত করে। এতে করে শিক্ষক আঃ ছাত্তার সহ তার ২ পুত্র ট্রলির আঘাতে চাপা পড়ে পিষ্ঠ হন । তাৎক্ষণিক স্থানীয় এলাকাবাসি ট্রলির নিচ থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় জখম ও হাতপা ভাঙ্গা স্কুল ছাত্র দুটিকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে আহত শিক্ষকের চাচাতো ভাই মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাদের অবস্থা খুবই খারাপ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে এই বেপরোয়া ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে কেউবা পঙ্গু হচ্ছে আবার কেউ মারাও যাচ্ছে আর কতো মানুষ মরলে বন্ধ হবে অবৈধ ট্রলির চলাচল । এ সময় বিক্ষুব্ধ জনগন ট্রলি চালককে আটক করে কয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম এস দোহা (বিপিএম) বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ট্রলি চালক পাইকগাছা উপজেলার বাদশাকে থানা হেফাজাতে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কয়রা(খুলন)
তাং-২৩-৫-২৩ ইং।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.