প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪, ১০:৫৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২৩, ৬:১২ পি.এম
উপকূলীয় বাঁধ সংস্কারে বাঁধ রক্ষার বনায়ন ধ্বংস, কর্তৃপক্ষ নীরব
উপকূলীয় বাঁধ রক্ষার জন্য বনায়ন করা হলেও সেই বনায়ন ধ্বংস করেই বাঁধ সংস্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। বিষয়টি একাধিক বার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা।
সূত্র মতে, শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জের পূর্বকালিনগরে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪৪৮ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কাজটির মূল ঠিকাদার যশোরের মুহিত উদ্দিন হলেও সাব ঠিকাদার হিসাবে আশাশুনির মইনুল ইসলাম কাজটি করছেন। কিন্তু ঝুড়ি কোদালে কাজ না করে অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর মেশিন ব্যবহারের জন্য ধ্বংস করা হচ্ছে বৃক্ষরাজি।
রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কেভেটর মেশিন চালানোর জন্য নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের হাজার হাজার গাছ কেটে সারাড় করা হচ্ছে।
স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ সুভাষ মন্ডল বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাঁধ সংস্কার করতে ঝুড়ি কোদাল দিয়ে কাজ করতে। এতে গাছের কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু এখন দেখছি মেশিন দিয়ে বাঁধ সংস্কার করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলছে। খুব কষ্ট করে গাছগুলো লাগানো। গাছ কাটা দেখে খুব খারাপ লাগছে।
পরিবেশবিদরা জানান, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধ রক্ষার জন্য সামাজিক বনায়ন করা হয়। কিন্তু এখন ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তার সহযোগিতায় অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর মেশিন দিয়ে কাজ করার কারণে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে গাছ কাটলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এছাড়া সংস্কার করা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে গাছের প্রয়োজন। কিন্তু যে গাছ কাটা হয়েছে, এগুলো আগামী ২০ বছরেও লাগাতে পারবে না।
গাছ কাটার বিষয়ে সাব ঠিকাদার মইনুল ইসলাম বলেন, মেশিন দিয়ে কাজ করার স্বার্থে কিছু গাছ কেটেছি।
এ বিষয়ে পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদাউস বলেন, আমরা কাউকে গাছ কাটতে বলিনি। কেউ যদি গাছ কাটে আমরা কি করতে পারি।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি নিজে যেয়ে দেখবো। আপাতত স্থানীয় চেয়াম্যানকে বলে দিয়েছি গাছগুলো জব্দ করতে।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.
হেড অফিসঃ আলাউদ্দিন মার্কেট, নীলডুমুর, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা- ৯৪৫৫