শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগরে প্রধান শিক্ষক করে দেওয়ার কথা বলে ১২২ নং গাবুরা খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের টাকা ফেরত চেয়ে জেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী।অভিযোগে বলা হয় ১৮৫নং সোয়ালিয়া সাপেরদুনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর কাছে থেকে ২০১৯ সালে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত করে দেওয়ার কথা বলে দুজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন ১২২নং গাবুরা খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। পরে ঐ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়ে গেলে ইসমাইল হোসেন দেলোয়ারের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তাল বাহনা শুরু করে কাল ক্ষেপন করে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে দেলোয়ার হোসেন। টাকা ফেরত ও দেলোয়ারে বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন সহকারি শিক্ষক ইসমাইল হোসাইনের স্ত্রী ফৌজিয়া পারভীন। ইসমাইল হোসেন টাকার চিন্তায় শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রী সহকারি প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের কাছে টাকা চাইলে তালবাহনা শুরু করে। টাকা দিতে একের পর এক সময় নিতে থাকে।টাকা দেওয়ার সময় উপস্থিত ব্যক্তি হোসনেয়ারা বেগম বলেন, ইসমাইল ভাইকে প্রধান শিক্ষক করার জন্যে আমার সমনে থেকে ৪ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়। কথা ছিল প্রধান শিক্ষকের পদ না দিতে পারলে টাকা ফিরত দিবে।আলোচিত শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দূর্নীতি, স্বেচ্চাচারিতা, দপ্তরি নিয়োগ ও জেলে কার্ড করে দেওয়া নামে অর্থ গ্রহণ , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছবি অবমাননা, ভূয়া শিক্ষার্থী দেখানো ইত্যাদি কারণে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় (৪ ডিসেম্বর ২২) বিভাগীয় মামলা করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী।ভারপ্রাপ্ত প্রাধান শিক্ষক দেলোয়ারের সাথে ০১৯১৩৪০১৭৮২ নং মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সে ফোন রিসির্ভ করিনি।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.