ডেস্ক রিপোর্টঃ
খুলনা নগরীর মুহসিন মোড়স্থ দৌলতপুর পাইকারী কাঁচা বাজারে শীতকালীন সবজির রমরমা আমদানি হচ্ছে।
যশোর, ফরিদপুর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, নওয়াপাড়া, ডুমুরিয়া, শাহপুর, চুকনগর, খর্ণিয়া, পাটকেলঘাটা, আঠারো মাইল, সাতক্ষীরাসহ খুলনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতি মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত হরেক রকমের শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করে। আমদানি ভালো হওয়ায় সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। এতে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষই বিকিকিনি করে খুশী। পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে ভোক্তাদের।
শুক্রবার সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে প্রতিদাড়ি (৫ কেজি) ফুলকপি ৭৫ টাকা, ওলকপি ৪০ টাকা, শীম ১শ’ টাকা, বেগুন ১শ’ টাকা, টমেটো ৭৫ টাকা, পালংশাক ৭০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা , লাউ প্রতি ১৫/২০ টাকা, পিঁয়াজের কালি ৭০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, কাঁচা ঝাল ৬০ টাকা, খিরাই ১১০ টাকা, আলু ১১০ টাকা, ধনে পাতা ১১০ টাকা এবং পাতা কপি প্রতি পিস ১০ টাকা করে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। জানা যায়, কাঁচা বাজারে পণ্য আনতে ব্যবসায়ীরা ট্রেন, বাসের ছাদ, পিকআপ, ট্রাকসহ নছিমন ও করিমন ব্যবহার করে। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে বিকিকিনি চলে। বাজারের ক্রেতারা মূলত দৌলতপুর, দিঘলিয়া, খালিশপুর, বয়রা, আড়ংঘাটাসহ স্থানীয় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অনেকেই পাইকারীভাবে সবজি কিনে ভ্যানে করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে।
একাধিক ক্রেতা জানান, বাজারে অনেক কিছুর দাম বেশি থাকলেও সবজির দাম হাতের নাগালে। এতে করে পরিবারের সদস্যদের পুষ্টির কথা চিন্তা করে বেশি বেশি সবজি কিনতে পারছি।
কাঁচামাল বেপারি ইকবাল বলেন, পাইকারী কাঁচা বাজারের বিভিন্ন আড়ত থেকে সবজি কিনে নির্দিষ্ট ঘরে সেটা বিক্রি করি। সবজির আমদানি ভালো এবং দামও কম। যার ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষই খুশি। সকালে ৪/৫ ঘন্টা সময় দিয়ে আমার প্রতিদিন ১ হাজার টাকা আয় হয়।
কাঁচা বাজারের আড়তদার বাবু জানান, আমার এখানে একটি ঘর রয়েছে। এই ঘরে অনেক বেপারি সবজিসহ বিভিন্ন রকম মালামাল নামিয়ে বিক্রি করে। আমি শুধু আড়তদারি নেই প্রতি দাড়ি ৩ টাকা করে। যে মাল কেনে তার কাছ থেকে আড়তদারি নেই। সেই ইনকামের টাকা দিয়ে আমি আমার সংসার চালাই।
সবজি কিনতে আসা খুচরা ব্যবসায়ী আনোয়ার ইসলাম বলেন, কাঁচা বাজার থেকে সবজি কিনে গ্রামে বিক্রি করি। খুলনার মধ্য দৌলতপুরে বাজারে সব সময় অনান্য বাজারের থেকে সবজির দাম কম থাকে। তাছাড়া এখানে সব ধরনের তাজা সবজি পাওয়া যায়।
দৌলতপুর কাঁচা বাজারের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হারুন বন্দ জানান, বাজারে প্রতিদিন হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। অনেকের সংসার চলে এই বাজারের ওপর। কিন্তু বাজারকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত টয়লেট ও পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এছাড়া কাঁচা বাজারের রাস্তাগুলো খুবই খারাপ যার কারণে মালামাল পরিবহণ করতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.