আল আমিন রানা
কয়রা (বেদকাশী) প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবন উপকূলের জনপদ খুলনার কয়রা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এবিএমএস দোহা (বিপিএম) ও ওসি তদন্ত মো.ইব্রাহিম আলী। দুই পুলিশ কর্মকর্তা কয়রা থানায় যোগদান করার পরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড কমে গেছে।শান্তিপূর্ণ ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা পালন,বন্ধ হয়ে যাওয়া কাছাড়ী বাড়ী বৃক্ষ মেলা তিন বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দুই কর্মকর্তা।তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার সকল শ্রেণির মানুষ। তাদের এ সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বস্তরের জনসাধারণ।পাল্টে গেছে কয়রা উপজেলার অপরাধ প্রবণতা। অপরাধীদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে উপজেলাবাসী।
স্থানীয় জনসাধারণ বলছেন উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে কয়রা থানা পুলিশের। বিশেষ করে থানার ইনচার্জ (ওসি)এবিএমএস দোহা (বিপিএম) ও ওসি তদন্ত মো.ইব্রাহিম আলীর যোগদানের পর অপরাধ দমনে তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ মিলেছে,কমেছে থানায় দালালদের দৌরাত্ম্য।কয়রা উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি থানাকে দালাল ও তদবিরমুক্ত করার বিষয়ে কঠোর সাহসী ভূমিকা পালন করে থানাকে দালাল মুক্ত করেছেন।উপজেলার বিগত ৬০ বছর ধরে চলা দ্বন্দ্ব দুই পক্ষে কে ডেকে মিমাংশা করে দিয়েছেন।আমন মৌসুমে ধানের জমি নিয়য়ে থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।উত্তর বেদকাশীর জরার্জিন কাটকাটা পুলিশ ফাঁকিকে আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপলক্ষে টিভির ব্যবস্থা করেছেন।কোন মানুষ বিপদে পড়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএমএস দোহা ও ওসি তদন্ত মো. ইব্রাহিম আলীর কাছে গেলে মনোযোগ সহকারে তাদের কথা শোনেন এবং সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন।আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করার স্বীকৃতি স্বরূপ গত জুলাই মাসে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএমএস দোহা (বিপিএম) খুলনা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়।
কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং সভাপতি হাফিজুর রহমান মিস্ত্রী বলেন, দুই কর্মকর্তার যোগদানের পর থেকেই বদলে গিয়েছে এলাকার চিত্র। উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে পুলিশী তৎপরতা জোরদার থাকায় অতীতের তুলনায় অপরাধ কর্মকান্ডের সংখ্যা এখন অনেক কম।বিপদে আপদে মানুষ পুলিশের সহযোগিতা পায়।
কয়রা উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি মাস্টার খায়রুল আলম বলেন, থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ এর যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য থানায় মামলার জট কমে গেছে, তাছাড়া তদন্ত ছাড়া কোন মামলা রেকর্ড করেন না। থানা পুলিশ সদস্যরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির এই উন্নতি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা দিয়েছে।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএমএস দোহা (বিপিএম) বলেন,জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। কয়রা থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে ।আমার কর্তব্য কাজে আমি কখনো আপোষ করি না। আমি সততার সাথে পুলিশ সুপার মহোদয় এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সেবামূলক কাজের মাধ্যমে, বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করে যাবো।জনগণের সেবাই পুলিশের ধর্ম। আমি চেষ্টা করি মানুষের সেবা করতে।উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা। কোন মানুষ বিপদে পড়লে বা হয়রানির স্বীকার হলে সরাসরি আমাকে জানাবেন আমি ব্যবস্থা নেব।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.