শ্যামনগর প্রতিনিধি।
ইট ভাটার কাজের কারনে দুই ছেলে ও তিন জামাতাসহ পুরুষ সদস্যরা বাড়ি-ঘর ছাড়া। সুযোগ বুঝে প্রতিপক্ষ ইউনুস মোড়ল লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ন জমি দখলের চেষ্টা করে। অনোন্যাপায় হয়ে পরিবারের নারী সদস্যদের নিয়ে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন ৬৫ বছরের বয়োবৃদ্ধ আব্দুল খালেক। এসময় প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি মারধরের শিকার হয়ে মারাত্বকভাবে আহত হয় ১০ ও পাঁচ মাসের অন্তসত্তা দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ তারা পাঁচজন। অপর আহতরা যথাক্রমে আছিয়া বেগম(৫৬), তিন মেয়ে মৌসুমী পারভীন (২৫), মিতা পারভীন (২২) ও মাসুরা খাতুন (২৯)।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামে। জরুরী পরিসেবার ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শ্যামনগর থানার পুলিশ তাদেরেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নিকটাত্বীয়রা ইট ভাটার কাজে এলাকার বাইরে অবস্থানের কারনে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের তত্তাবধানে আহতদের চিকিৎসা চলছিল।
স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শী ও আহতদের সুত্রে জানা যায় আব্দুল খালেকের বসতভিটা সংলগ্ন চার শতক জমি নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ইউনুস মোড়লের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। উচ্চ আদালতে বিচারাধীন ঐ বিরোধপুর্ন জমি দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল খালেক ও তার ছেলেরা ভোগ দখল করছে। বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে ইউনুস মোড়লের নেতৃত্বে সামাদ মোড়ল, আনারুল হোসেন, আনিছুর রহমান, আব্দুস সাত্তার ও রফিকসহ ১০/১২ জন বিরোধপুর্ন জমিতে ড্রেন কাটার চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিতে যেয়ে বৃদ্ধ আব্দুল খালেকসহ তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়। আহতদের মধ্যে ১০ মাসের অন্তসত্তা মৌসুমীর অবস্থা সংকটাপন্ন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মিলন হোসেন জানান, আহত পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে। অজ্ঞান অবস্থায় নিয়ে আসা মৌসুমীসহ তার অপর অন্তসত্তা বোন মিতাকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পর পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারনা দেয়া যাবে।
কাশিমাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৈয়েবুর রহমান জানান, পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আব্দুল খালেক ও তার দুই অন্তসত্তা মেয়েসহ পাঁচজনকে বেপরোয়াভাবে মারধর করা হয়েছে। আহতদের খোঁজ খবর দেয়ার মত নিকটাত্বীয়দের কেউ এলাকায় না থাকায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখে ভর্তির ব্যবস্থা করেছেন। পুলিশ লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়ে প্রসুতী নারীসহ অন্যদের মারধরের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল জানায়, পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতদের পক্ষে থকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.