রমজাননগর, (শ্যামনগর )প্রতিনিধি ঃ

শ্যামনগর আটুলিয়ার নায়েব আশারাফুল অল্প দিনেই টিনের চাল থেকে ফ্লাটবাড়ীর মালিক হয়েছেন ৷ আটুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আশারাফুল  ঘুষ বাণিজ্যর রাজত্ব কায়েম করে চলেছে মর্মে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে ৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলাদা আলাদা ৫/৬ জন ব্যক্তি  বলেন, নওয়াবেঁকী বাজারে পেরিফেরি জায়গায় দোকান বরাদ্দে স্ব-স্ব নামে কাগজ করে দেবে বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ভূমি কর্মকর্তা আশারাফুল ৷ ,ডিসিয়ার থেকে শুরু করে খাজনা, চেক কাটা, মিউটেশন সহ সেবার ধরণ বুঝে দালালদের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আদায় করে থাকেন। আর এই টাকা দিয়ে রীতিমত কয়েক কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করে ফেলেছেন।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, সাতক্ষীরা মনজিতপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাড়ি সহ গ্রামের বাড়িতে কয়েক বিঘা জমি ক্রয় করেছেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুল ৷ যার মূল্য কোটি টাকা।

আশারাফুল শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের পাতড়াখোলা গ্রামের মৃত্যু মোহাম্মদ গাজীর ছেলে ৷ ২০০৮ সালের শেষ দিকে আশরাফুল

ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি নামক এই সোনার হরিণ চাকরি পান ৷ তখন তার পরিবারের অবস্থা খুবই নাজুক ছিলো ৷

আশারাফুল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা চাকুরি পাওয়ার পর থেকেই এই সম্পত্তির মালিক কিভাবে হলো? কত টাকাই বা তিনি বেতন পান?

আশরাফুল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে ১৩ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে  কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করে ফেলেছেন ৷ কি তার আয়ের উৎস? তার নিজস্ব অন্য কোন ব্যবসাও নেই ৷সবকিছু এই চাকরীর উপর নির্ভরশীল ৷ তাহলে কোটি টাকার সম্পদ সবিই কি বেতনের টাকা দিয়ে করেছেন? একজন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা প্রতিমাসে কত টাকা বেতন পান?  এমন প্রশ্ন সবার মুখে মুখে ৷ এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ৷

এ বিষয়ে আটুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আশারাফুলের সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোনটা রিসিভ না করে কেটে দেন।