প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালে
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তৃতীয় মেয়াদে সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি হবে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার প্রথম নয়াদিল্লি সফর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার বিকেলে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় এসব কথা বলেন। তিনি
বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে প্রকৃতপক্ষে কয়টি চুক্তি
হতে পারে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে
পারি, কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘হাসিনা-মোদির বৈঠকে
তিস্তার সঙ্গে সব আন্তসীমান্ত নদী নিয়ে একটি ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি, রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসনে ভারতের সহায়তা এবং সীমান্ত হত্যা কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নিয়ে
আসাসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সব দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভারত অর্থনৈতিক শীর্ষ
সম্মেলনে যোগ দিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার চার দিনের সরকারি সফরে নয়াদিল্লি
যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ অক্টোবর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এ চুক্তিগুলো
স্বাক্ষর হবে। ওই দিনই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ
কোবিন্দর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া কংগ্রেসের
প্রধান সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করবেন।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.