শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি।
কৃষি জমিতে লবন, কাঁকড়া ও চিংড়ি চাষের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী বাজারের পাশে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কোস্ট ফাউন্ডেশন ও উদয়ন বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নানা বয়সী স্থানীয় শতাধিক নারী অংশ নেয়। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সংবাদকর্মীরা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া নারীরা বলেন কৃষি জমিতে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে, মার্টি উর্বরতা হারাচ্ছে। যা স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। যার প্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে এবং কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠী দীর্ঘেিময়াদী ঝুঁকির মুখে পড়ছে। তাই জীবন-জীবিকা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি জমিতে লবন, কাঁকড়া ও চিংড়ি চাষ বন্ধ করা জরুরী। প্রয়োজনে সেজন্য কার্যকর আইন প্রনয়নসহ ক্ষতিগ্রস্থদের বিকল্প আয় ও টুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্মতি ছাড়া ভুমি ব্যবহার পরিবর্তন বন্ধসহ কৃষি ফিরতে হবে।
উদয়ন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শেখ আসাদের সভাপতিত্বে ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের এম এ হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নারী প্রতিনিধি ঝরনা বেগম, প্রেসক্লাব সভাপতি সামিউল মনির, জনপ্রতিনিধি শওকাত হোসেন, তারুন্যের প্রতিনিধি ইমরান পারভেজ, উন্নয়ন কর্মী শিবু প্রসাদ বৈদ্য, নাজমা আবু প্রমুখ।
ভুক্তোভোগী নারীরা নিজেদের বক্তব্যে জানান লবনাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকুলের নারীরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতির শিকার হচ্ছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি নির্ভও পরিবারগুলো এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া গর্ভবতী নারীসহ শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে দাবি করে তারা বাল্য বিয়ের বিষয়টি সামনে আনেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উল্লেখ করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বার্থে জোন ভিত্তিক কৃষি ও কাঁকড়া এবং চিংড়ি চাষের প্রস্তাব করেন। এছাড়া তীব্র খাবার পাইনর সংকট নিরসনের পাশাপাশি উপকুল বাঁধ সংরক্ষনে পাশর্^স্থ নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাল খননসহ পুনঃখনন এবং এক ফসলী জমিকে সারা বছর ধরে চাষের আওতায় নেয়ার কৌশল নির্ধারণেরও দাবি জানান।
সম্পাদকঃ এম এ হালিম, মোবাইল: ০১৯১১-৪৫১৬৯৭,০১৭৮১১৫৮৯২৯ , Email- halim.nildumur@gmail.com.